October 30, 2024, 12:28 am
হেলাল শেখঃ ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে সারাদেশে মাসব্যাপী আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত, আজ ৩০ আগস্ট ২০২২ইং ঢাকার “আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জাতীয় শোক দিবস পালন করছেন।
১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন আর ১৫ আগস্ট তাঁর মৃত্যু বার্ষিকী। শক্রমুক্ত হোক দেশ, স্বাধীনতা সে আমার-স্বজন হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন, স্বাধীনতা প্রিয় মানুষের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল। একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা। বাংলাদেশের স্থপ্রতি বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ ও দেশের জন্য মরতে পারি প্রয়োজনে মহারণ, তবুও শক্রমুক্ত হোক বাংলাদেশে এই কথাগুলো আমরা ভুলতে পারি না, যা শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন তা এখন ইতিহাস।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে ঐক্যে সেদিন গোটা দেশ, একটি কথা একটি আশা শক্রমুক্ত হবে বাংলাদেশ। লাখো মায়ের আহাজারি, স্বাধীনতা তোমার লাগি ঝরছে কত রক্ত, কত অশ্রুবারি হয়েছে মানুষের। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গড়লো যারা নতুন দেশ, তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাদের রক্তে আজ এই বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। দেশ ও জাতির স্বার্থে যারা কাজ করেছেন এবং যারা স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
মার্চ মাসটি বাঙালী জাতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক হয়ে অনেকেই ফেসবুক নেতা, ফেসবুক সাংবাদিক বনে গেছেন, যা পায় তাই খায়, দলের শীর্ষ নেতা ও পুলিশ অফিসারের সাথে ছবি তুলে সেই ছবি দেখিয়ে দুষ্টুলোকগুলো ফায়দা নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সবখানে জটিলতা ও সমস্যা সৃষ্টি করছে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্রের সদস্যরা। কিছু প্রভাবশালীরা অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করতে কিছু শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে ফায়দা লুটছে। তাদের মুখে বঙ্গবন্ধুর নাম মানায় না, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হওয়া সহজ বিষয় না। শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের যারা হত্যা করেছে তাদের বাংলার মাটিতে বিচার চাই। শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে জাতীয় দিবসগুলো পালন করে আসছে জাতি। সবাইকে বাংলাদেশের ইতিহাস জানা দরকার।
বাংলাদেশের চলমান কিছু ঘটনা। বাংলাদেশের নাম লেখা হতো না, লাল সবুজের পতাকা উঁড়তো না, যদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে এই দেশ স্বাধীন না হইতো। ইতিহাস পড়–ন, জাতির সবকিছু জানুন, শেখ মুজিবুর রহমান কেমন মানুষ ছিলেন। কোথায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে? ইতিহাস বলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সভায়, ২ মার্চ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নায়ক হিসেবে বলা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ।
২৪তম বিসিএস ২০০৩ সালের ১২২ পাতায় কম্পিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইডের সুত্র: বাংলাদেশের মোট জমির পরিমাণ ৩ কোটি ৬৬ লক্ষ ৭০ হাজার একর। বাংলাদেশে মাথাপিছু আবাদী জমির পরিমাণ প্রায় ২৫ একর (২৫শতাংশ)। বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির কতভাগ লোক কৃষি কাজে নিয়োজিত, তা আমরা অনেকেই জানিনা। তথ্যমতে প্রায় ৬৬ভাগ মানুষ কৃষি কাজ করেন। কিন্তু আবাদী জমিতে ইটভাটা ও কল কারখানা হওয়ায় এখন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। প্রথম কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮০ সালে। এরপর ২০০২ সালে ৪র্থ কৃষি শুমারি হয়। কৃষি জমি ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য ২০০০ সাল পর্যন্ত মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়, কিন্তু দেশের রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ বা সেতু নির্মাণ করছে সরকার-এতে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না, এতে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হচ্ছে, শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। অতথ্যমতে কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে জনসংখ্যা ছিলো মাত্র ৭কোটি, যা বর্তমান ২০২২ইং সালে প্রায় ১৮ কোটির মতো। মানুষের খাদ্য বস্ত্র ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে সরকার। বর্তমানে উন্নয়নমুখী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাকর্মীরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, এরইজন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার। ধন্যবাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন। সবাইকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জয় বাংলা। লিখতে গিয়ে থামতে মন চায় না, শেখ মুজিবুর রহমান তোমাকে আমরা ভুলিনি আর কোনদিন ভুলবো না। সারাদেশে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিকলীগ ও শ্রমিক সংগঠনসহ আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী ও বাঙ্গালি জাতি মাস ব্যাপী জাতীয় শোক দিবস পালন করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ।